গোলাপগঞ্জে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী কর্মক্ষেত্র থেকে সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এনজিও কর্মী ওই তরুণী এ ব্যাপারে বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আলাল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত আলাল উপজেলার বাউসী গ্রামের মছব্বির হোসেনের ছেলে। এদিকে পুলিশ প্রথমে ধর্ষণের মামলা নিতে গড়িমসি করায় প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের গ্রেফতার দাবিতে শনিবার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। জনতার ক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত এসআই তপন কুমারকে সিলেট পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই তরুণী বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে অন্য যাত্রী না দেখে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অটোরিকশাচালক তাকে না নামিয়ে অন্যপথে দ্রুত গাড়ি চালাতে থাকে। কিছুদূর গিয়ে অটোরিকশাচালক তার পরিচিত দু’জনকে গাড়িতে ওঠায়। তাদেরই একজন আলাল হোসেন। তারা তরুণীকে চেপে ধরে গোলাপগঞ্জের পাহাড়বেষ্টিত নির্জন স্থানে একটি ভাঙা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কোনাচর বাজারে তরুণীকে ফেলে পালিয়ে যায় আলাল ও তার সহযোগীরা।

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আলাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তরুণীকে সিলেট ওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন